Information and Technology: ক্লাউড কম্পিউটিং – তথ্য সংরক্ষণের আধুনিক উপায়

ক্লাউড কম্পিউটিং – তথ্য সংরক্ষণের আধুনিক উপায়

আগে আমরা ফাইল সংরক্ষণ করতাম হার্ডডিস্ক বা পেনড্রাইভে। কিন্তু এখন তথ্য থাকে "ক্লাউডে" – অর্থাৎ ইন্টারনেটে একটি নিরাপদ জায়গায়, যেখান থেকে আপনি পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে তথ্য নিতে পারেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা:

  • তথ্য ব্যাকআপ ও নিরাপত্তা: কম্পিউটার নষ্ট হলেও তথ্য হারাবে না।

  • সহজ শেয়ারিং: গুগল ড্রাইভ, ওয়ানড্রাইভের মাধ্যমে ফাইল শেয়ার করা সহজ।

  • ব্যবসায়িক সুবিধা: কোম্পানিগুলো এখন নিজস্ব সার্ভার না রেখে ক্লাউডেই সব কিছু চালায়।

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ধরণ:

  1. Public Cloud: যেমন Google Cloud, Amazon Web Services (AWS), Microsoft Azure – সবার জন্য উন্মুক্ত এবং স্কেলেবল।

  2. Private Cloud: নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য, নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণে বেশি সুবিধাজনক।

  3. Hybrid Cloud: Public ও Private এর সংমিশ্রণ, যারা নির্দিষ্ট কিছু সেবা পাবলিক ক্লাউডে রাখে এবং সংবেদনশীল তথ্য প্রাইভেট ক্লাউডে সংরক্ষণ করে।

ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ:

  • ব্যক্তি পর্যায়ে: Google Photos, iCloud ব্যবহার করে মোবাইলের ছবি, কনট্যাক্ট, ডকুমেন্ট ক্লাউডে রাখা যায়।

  • শিক্ষা ও গবেষণা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ক্লাউড ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ল্যাব, লাইব্রেরি ও প্রজেক্ট শেয়ার করছে।

  • সরকারি সেবা: অনেক দেশ এখন ক্লাউড ভিত্তিক ডিজিটাল সেবা চালু করছে যেমন জাতীয় তথ্যভাণ্ডার।


চ্যালেঞ্জ ও করণীয়:

  • ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা: হ্যাকারদের আক্রমণ ঠেকাতে এনক্রিপশন, অডিট ট্রেইল, এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন দরকার।

  • ইন্টারনেট নির্ভরতা: ক্লাউড ব্যবহারের জন্য ভালো ইন্টারনেট সংযোগ আবশ্যক।

  • সেবা দাতার উপর নির্ভরতা: যদি সেবা প্রদানকারী সমস্যায় পড়ে, তবে আপনার ডেটার উপর প্রভাব পড়তে পারে।

বর্তমান ও ভবিষ্যতের তথ্য প্রযুক্তির মূল ভিত্তি হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। ব্যক্তি, ব্যবসা ও রাষ্ট্র—সবার জন্য এটি একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি।

No comments:

Post a Comment

Most View

মোবাইলে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

বর্তমান প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষও ডিজিটালের উপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বাড়িতে বসেই এখন ফোনের বিল , ইলেকট্র...