আগে আমরা ফাইল সংরক্ষণ করতাম হার্ডডিস্ক বা পেনড্রাইভে। কিন্তু এখন তথ্য থাকে "ক্লাউডে" – অর্থাৎ ইন্টারনেটে একটি নিরাপদ জায়গায়, যেখান থেকে আপনি পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে তথ্য নিতে পারেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা:
তথ্য ব্যাকআপ ও নিরাপত্তা: কম্পিউটার নষ্ট হলেও তথ্য হারাবে না।
সহজ শেয়ারিং: গুগল ড্রাইভ, ওয়ানড্রাইভের মাধ্যমে ফাইল শেয়ার করা সহজ।
ব্যবসায়িক সুবিধা: কোম্পানিগুলো এখন নিজস্ব সার্ভার না রেখে ক্লাউডেই সব কিছু চালায়।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ধরণ:
Public Cloud: যেমন Google Cloud, Amazon Web Services (AWS), Microsoft Azure – সবার জন্য উন্মুক্ত এবং স্কেলেবল।
Private Cloud: নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য, নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণে বেশি সুবিধাজনক।
Hybrid Cloud: Public ও Private এর সংমিশ্রণ, যারা নির্দিষ্ট কিছু সেবা পাবলিক ক্লাউডে রাখে এবং সংবেদনশীল তথ্য প্রাইভেট ক্লাউডে সংরক্ষণ করে।
ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ:
ব্যক্তি পর্যায়ে: Google Photos, iCloud ব্যবহার করে মোবাইলের ছবি, কনট্যাক্ট, ডকুমেন্ট ক্লাউডে রাখা যায়।
শিক্ষা ও গবেষণা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ক্লাউড ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ল্যাব, লাইব্রেরি ও প্রজেক্ট শেয়ার করছে।
সরকারি সেবা: অনেক দেশ এখন ক্লাউড ভিত্তিক ডিজিটাল সেবা চালু করছে যেমন জাতীয় তথ্যভাণ্ডার।
চ্যালেঞ্জ ও করণীয়:
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা: হ্যাকারদের আক্রমণ ঠেকাতে এনক্রিপশন, অডিট ট্রেইল, এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন দরকার।
ইন্টারনেট নির্ভরতা: ক্লাউড ব্যবহারের জন্য ভালো ইন্টারনেট সংযোগ আবশ্যক।
সেবা দাতার উপর নির্ভরতা: যদি সেবা প্রদানকারী সমস্যায় পড়ে, তবে আপনার ডেটার উপর প্রভাব পড়তে পারে।
বর্তমান ও ভবিষ্যতের তথ্য প্রযুক্তির মূল ভিত্তি হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। ব্যক্তি, ব্যবসা ও রাষ্ট্র—সবার জন্য এটি একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি।
No comments:
Post a Comment