Information and Technology: মোবাইলে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

মোবাইলে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

বর্তমান প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষও ডিজিটালের উপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বাড়িতে বসেই এখন ফোনের বিল, ইলেকট্রিক বিল মেটানো যায়। তাছাড়া অনলাইন শপিং, নেট ব্যাংকিং তো রয়েইছে। কিন্তু প্রযুক্তির অপব্যবহারের উদাহরণও বারবার উঠে এসেছে শিরোনামে। হ্যাকারদের থেকে নিজের ডেটা সুরক্ষিত রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। তবে পুরোটাই আপনার সচেতনতার উপর নির্ভর করছে। আপনার সুবিধার জন্য এই প্রতিবেদনে রইল এমন কয়েকটি টিপস যা অনলাইনে লেনদেনের সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্যকে সুরক্ষিত রাখবে।
Lock, Mobile Lock, Mobile Lock

অনেকেই আছেনফেসবুক বলতে পাগল। যা পান, তা ফেসবুক বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। কিন্তু এর প্রভাব আঁচ করতে পারেন না। যাঁরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোনো কিছু বিবেচনা না করেই পোস্ট দেন, তাঁদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, মনে রাখতে হবে, অনলাইনে কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। ওত পেতে আছে সাইবার দুর্বৃত্তরা।

আপনার পোস্ট বিশ্লেষণ করে ভয়াবহ ক্ষতি করে বসতে পারে দুর্বৃত্তরা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিজের সচেতনতা ছাড়া অনলাইনে কোনো কিছু পোস্ট করার পর তা নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি কঠিন। তবে অনলাইনে নিরাপদ থাকতে কয়েকটি পদক্ষেপ আপনারা নিতে পারেন। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি সম্প্রতি কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে। জেনে নিন সেগুলো:

Facebook, Mobile, Mobile Facebook, Personal Information

. আপনি কি অ্যান্ড্রয়েড ইউজার? তাহলে শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর থেকেই কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করুন। সেটাই আপনার সঙ্গে সবচেয়ে সুরক্ষিত। কারণ গুগল প্লে স্টোরে কোনওরকম ক্ষতিকর অ্যাপ থাকলে ইউজারকে আগেভাগেই সতর্ক করা হয় এবং দ্রুত তা স্টোর থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। তবে মোবাইলে কোনও দরকারি অ্যাপ বা নথি থাকলে অবশ্যই প্যাটার্ন বা পিন কোড দিয়ে স্ক্রিন লক করে রাখুন। ফোনে যদি গুগল অ্যাকাউন্ট লগ ইন করা থাকে, তাহলে আরও ভাল। সাধের ফোনটি হারিয়ে গেলে android.com/find ওয়েবসাইটে গিয়েও তা খুঁজে পেতে পারেন।

. ফোনে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার দায় কিন্তু সম্পূর্ণ আপনার। কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপের মোহে পা দিয়ে যদি ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেন, তাহলেই সমস্যা। অনেক সময় আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেই সব অ্যাপ আপনার মোবাইলের ক্যামেরা, কনট্যাক্ট নম্বর, লোকেশন ইত্যাদি ব্যবহার করে নিতে পারে। তাই এই সব অ্যাপে কোনরকম তথ্য দেওয়া আগে সতর্ক থাকুন। ফোন কোন বিষয়গুলির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া উচিত, তা আপনার ফোনের সেটিংসেই রয়েছে। সময় করে পড়ে ফেলুন।

Android, User, Mobile Picture,

. গুগল অ্যাকাউন্টটি নিশ্চয়ই আপনার কাছে সন্তান তুল্য। এটি ছাড়া প্লে-স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কিছুই ব্যবহার সম্ভব নয়। তাই গুগল অ্যাকাউন্টটির দেখভাল অতি আবশ্যক। সময়ে সময়ে পাসওয়ার্ড বদলানো, গুগলের নির্দেশাবলির দিকে নজর রাখা জরুরি।

. একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একাধিক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার প্রবণতা অনেকেরই আছে। যা বিপদজনক হতে পারে। মানে ধরুন, আপনার বাড়ি, গাড়ি, অফিস-সবকিছুর জন্য একটাই চাবি। সেটি হাতে পেলেই কেল্লা ফতে। তাই প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহারই বুদ্ধিমানের কাজ এবং সেসব যেন হয় বেশ শক্তিশালী।

. মাঝে মধ্যে আপনার স্মার্টফোনটি আপডেটেড হতে চায়। তার নির্দেশ মেনে ওয়াই-ফাই কানেক্ট করে সফটওয়্যার আপডেট করে নিন। এতে আপনার ফোন সতেজ সুস্থ হয়ে ওঠে।

Personal Information, Information, Personal

. ক্লাউড ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুর। অনেকেই এখন ক্লাউডে নানা তথ্য রাখেন। যাঁরা ক্লাউডে তথ্য রাখেন, তাঁরা বাড়তি নিরাপত্তা নিতে ভুলবেন না। টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্ত করে ক্লাউডের অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখুন।

. অনলাইনের নিরাপত্তায় টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন। মনে রাখবেন, অনলাইনের অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তায় আরেক স্তরের সুরক্ষা দিতে পারে পদ্ধতি।

এছাড়াও টু স্টেপ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ফোনকে সুরক্ষিত রাখুন। অদ্ভুত নম্বর থেকে ফোন এলে তা ভুল করেও ধরবেন না। এর মাধ্যমেও আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা হাতানোর চেষ্টা করা হয়। তাই অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।

No comments:

Post a Comment

Most View

মোবাইলে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

বর্তমান প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষও ডিজিটালের উপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। বাড়িতে বসেই এখন ফোনের বিল , ইলেকট্র...